শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন
বরিশাল নবগ্রাম রোড মোল্লার হাটনিবাসী ,রেহানা আক্তার রিয়া, পিতাঃমোবারক আলী খলিফা সাং- ইন্দারকাঠী, পোস্টঃখাগুটিয়া, থানা জেলা ঝালকাঠি , বরিশাল শেবাচিম এর একজন ইন্টার্ন নার্স। অভিযুক্তঃ আল মামুন রাব্বি ,পিতাঃ সুলতান হাওলাদার, মাতাঃ বিউটি বেগম,সাংকুমারখালী ,পোস্টঃপিরোজপুর থানাঃপিরোজপুর সদর জেলাঃপিরোজপুর। বরিশাল শেবাচিমের কর্মরত শিশু বহির্বিভাগ ডাক্তার জনাব নুরুল আলম স্যারের অধীনস্থ অফিস সহায়ক। দীর্ঘ প্রায় চার মাস পূর্বে তার সাথে আমার একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবাদে পরিচয়।
পরিচয় পরবর্তী সময়ে সে আমাকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিতে আমি এতে রাজি না থাকায় সে আমাকে ভয় দেখায়। এরপর তাঁর মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে পড়ে গেলে সে আমাকে তার নিকট আত্মীয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কথা বলে ধান গবেষণা একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে কেউ না থাকায় সে আমাকে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করে আমি এতে রাজি না হওয়ায় তার ফিটিং দেওয়া লোক দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় আমার পথ আটকায় এবং ৫ লক্ষ টাকা কাবিন ধার্য করে বিবাহ করে।
এরপর ওখানে থাকা একটি ফ্ল্যাট বাসায় আমরা দীর্ঘ একমাস দুজনে একসাথে নিচে সংসার করি। পরবর্তীতে ওখান থেকে উত্তর সাগরদী সিএন্ডবি রোড একটি বাসায ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করি। তখন আমাকে সে বুঝায় লকডাউন চলাকালীন সময় আমাদের বিবাহ রেজিস্ট্রি হয়নি তাই আমাদের আবার বিবাহ করতে হবে এই বলে আমাকে বিএম কলেজের সামনে নিয়ে আরও এক কাজের কাছে রেজিস্ট্রি করে যেখানে কাবিনের ঘর খালি ছিল আমি যখন বলি কাবিল উল্লেখ করবে না তখন সে বলে কাজে এখন নামাজে যাবে পরবর্তীতে লিখে দিবে। এরমধ্যে আমি আমার পরিবারকে এ বিষয়ে অবগত করি এবং আমার সাথে আমার স্বামী আমার পিতার বাসায় যাওয়া শুরু করি।
আমার পরিবারের সদস্য সবকিছু মেনে নিয়েছিল কিন্তু যখন তার পরিবারের সদস্যকে জানানোর প্রশ্ন আসে তখন সে ভীত প্রশন করে এবং কথায় কথায় বেরিয়েছে আসে যে তার ঘরে আমাকে নিতে পারবে না এর কারণ জানতে চাইলে সে আমাদের জানায় আমার পূর্বে তার আরো এক বিবাহ আছে সেই ঘরে স্ত্রী এবং পুত্র আছে। তখন তার সাথে কথা কাটাকাটি হলে সে আমাকে অনেক শারীরিক নির্যাতন ও মানসিক নির্যাতন করে বলে আমার বাড়ি থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়ে তাকে দিলে সে আমাকে তার স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলবে। যখন জানতে চাই চার লক্ষ টাকা দিয়ে কি হবে। সে আমাকে বলে ওই টাকা দিয়ে পূর্বের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে তাকে ছেরে আমাকে ঘরে তুলবে। এতে আমি রাজি না থাকায় সে আমাকে বলে তুমি কিছুদিন তোমার বাপের বাড়িতে থাকো, ভেবেচিন্তে দেখো এরপর আমাকে সিদ্ধান্ত জানাও, এই বলে বরিশাল চলে যায় ।
আমাকে আমার বাবার বাড়ি একা রেখে। এরপর আমরা তার বাবা-মার নাম্বার সংগ্রহ করে তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা আমাদের উল্টো গালাগালি মানহানি মূলক কথাবাত্রা এবং ভয়-ভীতি দেখাতে শুরু করে একই সাথে মুঠোফোনে তার স্ত্রী আমাকে গালমন্দ অনি যাদের শাস্তি দেওয়ার শক্তি দেখায়।আমি বরিশাল না থাকার সুযোগ নিয়ে সে আমার ভারা বাসার সমস্ত মালামাল, আমার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট মা-বাবার দেওয়ার স্বর্ণের গহনা , পরীক্ষাও এডমিট এর জন্য অগ্রিম দেওয়া ৫০০০০ টাকা পোশাকাদি মোবাইল ফোন সবকিছু নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়।
পরবর্তীতে আমি আমার পরিবার তাকে বিভিন্নভাবে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। সে ফোন রিসিভ করে না ।এক পর্যায়ে রাতে কল দিয়ে সে আমাকে বলে আমি তোমাকে চিনি না তুমি কে ।অর্থাৎ ,সে আমাকে তার স্ত্রীর মর্যাদা বা স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে এবং তার সাথে যোগাযোগ করতে আমাকে বারণ করে। এ বিষয় নিয়ে থানা অথবা আদালতে তার নামে কোন ধরনের অভিযোগ দিলে সে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমার পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করে। এ বিষয় নিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং শেবাচিমের পরিচালক বরাবর অভিযোগ করেছে মেয়েটি। অভিযোগটির তদন্ত দায়িত্ব পান এস আই সাহাজাল ।